আমার আই আই ইউ সি’র এক ছাত্রী, ফারহানা, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে পাস করে একই ডিপার্টমেন্টে জয়েন করল। যদিও ওকে কিছুতেই ‘ম্যাডাম’ ছেড়ে ‘আপা’ ডাকাতে পারলাম না, কিছুদিনের মধ্যে সে এতটুকু ফ্রি হয়ে গেল যে আমাদের সাথে বসে গল্পগুজব করা শুরু করল। একদিন কথা হচ্ছিল আসন্ন ছুটিতে কে কোথায় যাবে। সবাই যে যে যার যার প্ল্যান আলাপ করল। কথাপ্রসঙ্গে সে বলল, ‘আমাদের বাসায় কেউ আসেনা’। আমি ভাবলাম ওরা স্থানীয় নয় তাই খুব বেশী আত্মীয় স্বজন হয়ত চট্টগ্রামে থাকেনা, সেজন্যই বেশী মেহমান যায়না। বললাম, ‘তোমার যখন মনে এত দুঃখ, যাও এবারের ছুটিতে আমি তোমার বাসায় বেড়াতে আসব’। সে চোখ বড় বড় করে বলল, ‘সত্যিই আসবেন, ম্যাডাম?’ আমি বললাম, ‘মিথ্যা বলব কেন? তোমাকে ফোন করে আসব ইনশা আল্লাহ’।
যখন ছুটি শুরু হোল, বৈকালিক অ্যাডমিন মুন্নি ফোন করে বলল, ‘আপা, আগে আমার বাসায় আসেন তারপর আমরা একসাথে ফারহানার বাসায় যাব’। আমি যেহেতু এলাকাটা ভালভাবে চিনিনা, একজন সঙ্গী পেয়ে খুশীই হলাম। আমার চার বছরের কন্যা রাদিয়াকে নিয়ে ওর বাসায় পৌঁছে দেখলাম ও রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। প্রথমে ওর বাসায় ঢুকলাম, ওর বাবা মা বোনদের সাথে পরিচিত হলাম। ও বারবার তাড়া দিতে লাগল, ‘আপা চলেন চলেন, দেরী হয়ে যাচ্ছে’। আমি একটু অবাক হলাম। তখন বাজে মাত্র সাড়ে দশটা। পাঠানটুলী থেকে হালিশহর যেতে আর কতক্ষণ লাগবে? কিন্তু আমি ভাবলাম কোন অসুবিধা আছে যা ও মেহমানের সামনে বলতে পারছেনা। তাই ওর পরিবারের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে উঠে পড়লাম।
রিক্সাওয়ালা ভাই জিজ্ঞেস করলেন, ‘কোথায় যাবেন?’ মুন্নি বলল, ‘হালিশহর রেললাইনের শেষ মাথা’। আমি বললাম, ‘এ আবার কেমন ঠিকানা হোল?’ ও বলল, ‘আপা চলেন, দেখবেন’। কাট্টলী পর্যন্ত চিনলাম, তারপর আমি নিজেই বুঝতে পারছিলাম না আমরা হালিশহর এদিকে কেন যাচ্ছি। রিক্সাওয়ালা ভাইকে বারবার জিজ্ঞেস করতে লাগলাম, ‘ভাই, আপনি জানেন তো আপনি কোথায় যাচ্ছেন?’ উনিও বারবার আশ্বস্ত করতে লাগলেন যে উনি ঠিক পথেই যাচ্ছেন। মুন্নিকে বললাম, ‘আমরা মনে হয় ভুল পথে যাচ্ছি’। ও বলল, ‘না আপা, ঠিক আছে’।
শেষ পর্যন্ত যখন ভাবলাম আর পথ নেই তখন রিক্সাওয়ালা ভাই আমাদের একটা রেল লাইনের সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে গেলেন। আমি বললাম, ‘এখানে তো ধানক্ষেত ছাড়া আর কিছু নাই’। মুন্নি বলল, ‘আপা, রেললাইন ধরে হাঁটা শুরু করেন’। বামদিক ধরে বেশ কিছুদুর হেঁটেও কোন বাড়ীঘর দেখতে পেলাম না। ফারহানাকে ফোন করলাম। ও বলল, ‘ম্যাডাম, হাঁটতে থাকেন, আমি আপনাদের দেখতে পেলে ফোন করব’। আরো প্রায় দশ মিনিট হাঁটার পরেও যখন কোন বাড়ীঘর দেখতে পেলাম না আমি নিশ্চিত হলাম যে আমরা ভুল পথে এসেছি। মুন্নিও আমতা আমতা করতে লাগল। ফিরে যাব ভাবছি এমন সময় ফারহানা ফোন করে উত্তেজিত কন্ঠে বলতে লাগল, ‘ম্যাডাম, আমি আপনাদের দেখতে পাচ্ছি। আপনারা দাঁড়ান, আমি আমার ভাইকে পাঠাচ্ছি’। আমি বলতে যাচ্ছিলাম, ‘আমরা তো কোন বাড়ীঘরই দেখতে পাচ্ছিনা, তুমি আমাদের কোথা থেকে দেখছ? তোমার ভাইয়ের কষ্ট করে আসার দরকার নাই, আমাদের ডাইরেকশন দিলে আমরাই আসতে পারব’, কিন্তু তার আগেই সে ফোন রেখে দিলো। আমরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে আছি এমন সময় দেখি রেললাইনের পাশে একটু নীচু জায়গায় কিছু কুঁড়েঘর আর ছোট্ট উঠানে একটা নলকূপ, চারপাশে ধানক্ষেতের জন্য চোখেই পড়েনা। মুন্নি বলল, ‘চলেন আপা, ওখানে ছায়া আছে, উঠানে গিয়ে দাঁড়াই’। আমার মেয়ের মুখ রোদে লাল হয়ে গেছিল তাই বললাম, ‘চল’। উঠানে গিয়ে দাঁড়াতেই কুঁড়েঘরগূলো থেকে মানুষজন বেড়িয়ে এলো। আমাদের দেখে ওরা খুশী হয়ে বলল, ‘ফারহানা আপাদের বাসায় এসেছেন বুঝি?’ আশস্ত হলাম যে আমারা ঠিক জায়গায় এসেছি। বললাম, ‘হ্যাঁ, কিন্তু ওদের বাড়ী কোথায়?’ ওরা ধানক্ষেত দেখিয়ে বলল, ‘ঐ তো’। আমার ভীষণ মেজাজ খারাপ হোল। রোদে পুড়ে হাঁটতে হাঁটতে আমাদের অবস্থা কাহিল আর ওরা কিনা আমাদের সাথে মস্করা করে! এমন সময় দেখতে পেলাম একটা ছেলে হাতে বড় বড় কি যেন নিয়ে ধানক্ষেতের মধ্য দিয়ে আসছে। ওরা বলল, ‘ঐ যে ফারহানা আপার ভাই আসছে’। দেখে বুঝলাম ছেলেটা শিক্ষিত সুতরাং ওরা মস্করা করছে না। কিন্তু সে কোথা থেকে আসছে আর ওর হাতে এত মালপত্র কেন বুঝতে পারলাম না।
যখন সে এসে পৌঁছল তখন দেখলাম ওর হাতে দুইজোড়া গামবুট। সে বলল, ‘আপনারা জুতা খুলে গামবুট পরে নেন আর আপনাদের ব্যাগগুলো আমার হাতে দিয়ে দেন’। আমরা হতবাক হয়ে ওর কথামতই করতে লাগলাম। ততক্ষণে গ্রামবাসী এক মহিলা আমার মেয়ে রাদিয়াকে কোলে নিয়ে নিয়েছেন। আমি ভদ্রতা করে বললাম, ‘ওকে আমার কাছে দেন’। কিন্তু, ‘আপনি ওকে নিয়ে হাঁটতে পারবেন না’, বলে উনি ততক্ষণে ধানক্ষেতের দিকে হাঁটা দিয়েছেন। আমার ব্যাগ, জুতা চুলোয় যাক, মেয়ের মায়ায় আমিও তখন তার পিছু পিছু যেতে শুরু করেছি।
প্রথমেই চোখে পড়ল উঠান আর ক্ষেতের মাঝে বেড়া, ধানক্ষেতে নামতে হয় একটা পুকুরের ওপর দিয়ে পাড় হয়ে। পুকুরের এক পাশে পানির ওপর কয়েকটা নারকেল গাছের গুঁড়ি পরস্পরের সাথে হাল্কাভাবে বেঁধে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে। ক্ষেতের ফসলে কেউ যাতে পা না দেয় সেজন্য চিকণ বাঁশের বেড়া দিয়ে মাটিতে পা রাখার কোন উপায় রাখা হয়নি। বিসমিল্লাহ বলে সেই চিকণ বাঁশ ধরেই নারকেলের গুঁড়িতে পা রাখলাম আর তাতেই সেই নারকেলের গুঁড়ির অর্ধেক গেল পানিতে ডুবে। আমি পারিনা সাঁতার। ভাবলাম, পড়লে নির্ঘাত মৃত্যু। ওদিকে আমার মেয়েকে নিয়ে মহিলা পুকুর পাড়ি দিয়ে ক্ষেতে নেমে গেছেন। মুন্নির চিৎকার আর ডুবন্ত সাঁকো উপেক্ষা করে দ্রুত পুকুর পেরিয়ে নামলাম ধানক্ষেতে আর পড়ি কি মরি, পিছলে পড়তে পড়তে একটুর জন্য সামলে নিলাম। এ কোন বিপদ? চারপাশে বুকসমান ধানগাছ, নীচে পিছল মাটি, কিন্তু পা দিলে কাদায় পা এমনভাবে গেঁড়ে যায় যে দুই হাত দিয়ে টেনে তুলতে হয়! কারো কাছে ক্যামেরা থাকলে এই ছবি ‘শহুরে ভুতের গ্রাম যাত্রা’ শিরোনামে যাদুঘরে দেয়া যেত। ঐ মহিলাকে দৃষ্টিসীমার মধ্যে রেখে চলতে গিয়ে আমি ঘেমে নেয়ে একাকার হয়ে গেলাম অথচ উনি চলেছেন খালি পায়ে, বাচ্চা কোলে! আর মুন্নি যে কিভাবে আসছে দেখার অবকাশই রইলোনা। আমি হাত দিয়ে পা টেনে টেনে চলেছি। প্রায় দশ মিনিট পর ধানক্ষেতের মধ্যখানে একটা গেটওয়ালা পাঁচিল দেখতে পেলাম। গেটের সামনে ফারহানা দাঁড়ানো। সে গ্রামবাসী মহিলার কাছ থেকে সাগ্রহে রাদিয়াকে কোলে তুলে নিতেই প্রথমে স্বস্তি আর তারপরই দুনিয়ার ক্লান্তি আমাকে ছেয়ে ফেলল। এতক্ষণে খেয়াল করলাম মুন্নির কাঁদোকাঁদো অবস্থা, জামা কাপড় কাদায় একাকার। তাই ওর জন্য দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে লাগলাম।
গেট পেরিয়ে আমাদের বিস্ময়ের সীমা রইলোনা। ঢুকতেই সুন্দর ঝকঝকে উঠান। উঠানের একপাশে পায়রার খোপ, মুরগীর ঘর, হাঁসের খোয়ার। গেটের উল্টোদিকে দু’টা পুকুর হাঁস আর মাছ চাষের জন্য। উঠানের অন্যপাশে সুন্দর একতালা দালান, ফুল ফলের গাছগাছালীতে ঘেরা। মনে হয় যেন কোন বাগানবাড়ি। খালাম্মা বাড়ীর দরজায় সরবত নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। ওনাকে মনে হোল স্বর্গের সাকী। সরবত খেয়ে আমরা যেন ক্লান্ত দেহে প্রাণ ফিরে পেলাম। ওনার জন্য দোয়া এলো মন থেকে। তাই উনি যখন বললেন, ‘তোমাদের আসতে কষ্ট হয়নি তো?’ তখন কিছু বলতে পারলাম না, শুধু একটা সুন্দর হাসি দিলাম।
ঘরের বারান্দা পেরিয়ে ড্র্ইং রুম, ডাইনিং রুম; ডাইনিং রুমের একপাশে আধুনিক কিচেন আরেকপাশে ফারহানার ঘর, সোজা গেলে খালাম্মার রুম। চমৎকার ফ্রিজ, টেলিভিশন, ওয়াশিং মেশিন, আধুনিক টয়লেট, ডিশ আর ইন্টারনেট কানেকশন দেখে ভুলেই গেলাম যে আমরা বিলের মাঝে অবস্থান করছি। ফারহানাকে জিজ্ঞেস করলাম এগুলো আনা হয়েছে কিভাবে। ও জানালো শীতকালে যখন বিলের ধান কাটা হয়ে যায়, বিল শুকিয়ে যায়। তখনই ভারী জিনিসপত্র আনতে হয়। এই বাড়ীও তৈরী করা হয়েছে এভাবেই। ছাদে গিয়ে দেখলাম চারপাশে গাছের ছায়ায় চমৎকার বসার ব্যবস্থা আর ক্ষিদে পেলে চারপাশের শোভা দেখতে দেখতে গাছ থেকে ছিঁড়ে নিজের পছন্দমত কামরাঙ্গা, পেঁপে যা খুশী খাওয়া যাবে!
খালাম্মা বললেন, ‘একটা বাজে, তোমরা আগে নামাজ পড়ে খেয়ে নাও তারপর সবাই মিলে গল্প করি’। অজুর ঠান্ডা পানি দেহে প্রশান্তির পরশ বুলিয়ে দিলো। খেতে বসে উদাস হয়ে গেলাম। আন্টি যে প্লেট দিয়েছেন একই সেট আমরা আবুধাবী থাকতে ব্যবহার করতাম যখন আমাদের পরিবারেও ওদের মত বাবা মা ভাই বোন ছাড়া আর কেউ ছিলোনা। আমাদের মতই খালাম্মা সাধারণ ঝাল দিয়ে হাল্কা মেনু করেছেন। গরম থেকে এসে এই খাবার কি যে ভালো লাগল বলার মত না।
খালু আমাদের সাথে দেখা করেই চাকুরীস্থলে রওয়ানা দিয়েছিলেন, উনি তখন চট্টগ্রামের বাইরে কোথাও কাজ করতেন। তাই খাওয়ার পর আমরা খালাম্মার সাথে ওনার ঘরে গল্পে বসলাম আর আমার মেয়ে ফারহানার সাথে কি কি যে গল্প করতে লাগল আল্লাহই জানেন। খালাম্মা বললেন, ওঁরা যখন এই জায়গা কিনলেন তখন এখানে বসতি হওয়ার কথা ছিলো। বহুবছর এই জায়গা ফেলে রাখার পর যখন শোনা গেল এখানে রাস্তা হবে, খালু বললেন এবার বাড়ী করে উঠে গেলেই হয়। কিন্তু বাড়ী করার এত বছর পরও রাস্তা হয়নি। তাই আত্মীয় স্বজন আসতে চায়না। উনি ভারী চিন্তিত মেয়ে বিয়ে দিলে কি করবেন। তাছাড়া ওনাদের আর কোন সমস্যা নেই। ডিম, মাছ, মাংস, সব্জী, চাল, ফলমূল সবই হাতের নাগালে তাজা পাওয়া যায়। শীতকালে চাষীরা টমেটো, ফুলকপি সব ঝুড়ি ভরে এনে দিয়ে যায়। কোন সুযোগসুবিধার অভাব নেই।
ততক্ষণে ফারহানা এসে যোগ দিলো। আমার চার বছরের মেয়ে তখন এত জ্ঞানী একজন আন্টির সাথে কথা বলতে পেরে ভারী আনন্দিত। সুতরাং, সেও চুপচাপ শুনতে লাগল। ফারহানা গত পাঁচবছর ধরে শীত গ্রীষ্ম বর্ষায় দিনে রাতে এই ধানক্ষেতের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করে লেখাপড়া, চাকরী করে আসছে। সে বলল, প্রতিদিন সে এক্ সেট এক্সট্রা কাপড় নিয়ে বাসা থেকে বের হয়। ঐ কুঁড়েঘরগুলোর কাছে পৌঁছে, জুতা পরিবর্তন করে, গামবুট কুঁড়েঘরে রেখে সে রেললাইন ধরে আমাদের রিক্সা যেখানে নামিয়ে দিয়েছিল সেখানে আসে। ওখানে রিক্সা পাওয়া না গেলে আরো দূরে গিয়ে রিক্সা ধরতে হয়। আর বর্ষাকালে আর গামবুটে কাজ হয়না। তখন খালি পায়েই বিল পেরিয়ে নলকূপে পা ধুয়ে ইউনিভার্সিটি পৌঁছে কাপড় বদলে নেয়। বিলের মধ্যে সাপের কামড় খেতে খেতে ওদের সাপের ভয়ও চলে গেছে। আমরা ওর সার্বক্ষণিক হাসিমুখ, সুন্দর পরিচ্ছন্ন রুচিশীল জামাকাপড় আর পরিপাটি জুতা দেখে হাজার বছরেও ধারণা করতে পারতাম না ও কি কষ্ট করে প্রতিদিন যাতায়াত করে। আমি মনে মনে ওকে সালাম করলাম যে লেখাপড়ার প্রতি কি পরিমাণ আগ্রহ থাকলে একটা মেয়ে এত কষ্ট করার পরও এত ভালো রেজাল্ট করতে পারে এবং আরো পড়ার পরিকল্পনা করতে পারে। আল্লাহ, আমার মেয়ে যেন এমন পরিশ্রমী আর হাসিখুশী হয়, আমীন।
যাবার পর থেকেই আমরা ভাবছিলাম, এসে তো পড়েছি, ফিরে যাব কিভাবে? বিকালে রোদ পড়ে এলে খালাম্মা আমাদের যে ক’টা পেঁপে পাওয়া গেল সাথে দিয়ে দিলেন। আর বিশালাকার কয়েকটা কামরাঙ্গা আমরা নিজ হাতেই পেড়ে নিলাম। গাছ থেকে নিজ হাতে পেড়ে কখনো কামরাঙ্গা খাইনি। পাড়তেই খুব মজা লাগল। আবার যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আবার সেই দুর্গম পথে রওয়ানা দিলাম। কেন যেন ফিরে আসার পথে আর অত কষ্ট লাগলনা।
তারপর সুদূর কানাডা এলাম। কিন্তু আর খালাম্মার সাথে দেখা করতে যাওয়া হয়নি। তবে ইচ্ছা আছে, এবার আমার মেয়ে এবং ছেলেকে নিয়ে যাবো ইনশা আল্লাহ!