Monday, May 20, 2013

গিফট

উফ! ওর ভাইয়াটা যে কি! বড় ভাইটার সব দায়িত্ব নিতে নিতে মুমতাহিনা ক্লান্ত হয়ে গেল। কিচ্ছু হয়না ওকে দিয়ে। বন্ধুর জন্য একটা গিফট কিনবে সেটাও বলে কিনা, ‘মুমি আমার লক্ষ্মী বোন, আমার বন্ধুটার বিয়ে। যা না, একটা গিফট কিনে এনে দে!’ তাই এই সাতসকালে মোমেনা আন্টির তীক্ষ্ণ নজরদারীর সামনে ‘আপন উপহার বিতান’এর বিশাল সম্ভার থেকে কি নেয়া যায় ভাবতে ভাবতে হয়রান হচ্ছে মুমি। মোমেনা আন্টি অবশ্য আসলে অনেক নরম মনের একজন মানুষ, কিন্তু তাঁর চেহারাটাই সৃষ্টিকর্তা এমনভাবে গড়ে দিয়েছেন যে দেখলে মনে হয় তিনি সামনের ব্যাক্তির চেহারাচরিত্র গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। অথচ এই মূহূর্তে তিনি দোকানের পিচ্চিটাকে বসিয়ে ট্রান্সলেশন শেখাচ্ছেন। তিনি চান না সে সারাজীবন পিচ্চিগিরি করে যাক, তাই কাজ দেয়ার পর থেকেই ওকে লেখাপড়া করাচ্ছেন।
 



কার্ডের সেকশনের সামনে এসেই মুমির মাথা খারাপ হয়ে গেল। কি যে সুন্দর সুন্দর কার্ড! আচ্ছা, মানুষ এত দামী দামী গিফট না দিয়ে সুন্দর সুন্দর কার্ড দিতে পারেনা? এই জিনিসটা নষ্টও হয়না, এর আবেদনও সময়ের সাথে কমে যায়না, প্রতিবার কার্ডটা দেখলেই মনের ভেতর জেগে ওঠে এর সাথে সংশ্লিষ্ট সব স্মৃতি।

পাশেই কে যেন ডাক দিল, ‘শুনুন!’ নির্ঘাত ওকে দোকানের স্টাফ ভেবে বসে আছে! ভাবতেই পারে। মুমি প্রায়ই এসে মোমেনা আন্টিকে দোকান সামলাতে সাহায্য করে।

সে বলল, ‘জ্বী, আমি আপনাকে কি সাহায্য করতে পারি?’

লোকটা অল্পবয়সী, সাদা শার্ট আর কালো প্যান্ট পরা, চেহারায় বয়সের ছাপ না থাকায় কেমন যেন স্কুলড্রেস স্কুলড্রেস মনে হচ্ছে, বলল, ‘আমি একটা সমস্যায় পড়েছি। আমি কিছুদিনের মধ্যে বিয়ে করতে যাচ্ছি ইনশাল্লাহ। আমার হবু স্ত্রীর জন্য কিছু একটা উপহার কিনতে চাই। কিন্তু আমি কখনো মেয়েদের গিফট দেইনি, মানে মা খালা ফুপুদের যেসব গিফট দিয়েছি সেটা তো আর ওনাকে দেয়া যাবেনা, আপনি কি কিছু পরামর্শ দিতে পারেন কি কিনতে পারি?’

‘আপনি কি জানেন তিনি কি পছন্দ করেন?’

‘তেমন একটা ধারণা নেই, শুনেছি পড়তে ভালবাসেন, কিছু কিছু লেখালেখিও করেন’।

‘তাহলে আপনি তাঁকে কোন ভাল বই, অথবা ডায়রী বা কলম দিতে পারেন ... সাথে সুন্দর একটা কার্ড (উফ, এইটা যে কেন বলল!) ... আচ্ছা, আপনার বাজেট কেমন?’

‘সে যা চাইতে পারে তার সবটুকু এবং যা না চায় তার একশগুন, যদি আল্লাহ আমাকে সামর্থ্য দেন’, স্মিত হাসল লোকটা।

উত্তর শুনে মুমির চোখ কপালে, বুঝল বিয়ের আগেই প্রেমে পড়ার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে বসে আছে এই লোক, কিন্তু এই অদ্ভুত বাজেটে কি কেনা যায়?

 

লোকটাকে নিয়ে বইখাতা কলমের সেকশনে যাবার পথে জুয়েলারী সেকশনের সামনে এক সেকেন্ডের জন্য থমকে দাঁড়ায় মুমি। মোমেনা আন্টি ভারী সুন্দর একটা লকেট এনেছে, চারদিকে লতাপাতা ফুল আর মাঝখানে ‘আল্লাহ’ লেখা। ছোট্ট একটা জিনিস, কিন্তু লকেটটা গোল্ডের, ওর সামর্থ্যের অনেক বাইরে, তাই প্রতিদিন তাকিয়ে দেখেই মনের সাধ মেটায় মুমি আর ভাবে কেউ যেন এটা না কেনে, একদিন পয়সা জমিয়ে ঠিক লকেটটা কিনে নেবে সে।

লোকটা একটা মোটা ব্রেসলেট দেখিয়ে বলে, ‘আচ্ছা, এটা কেমন?’

কল্পনার জগত থেকে বাস্তবতায় ফিরে আসে মুমি, ‘উনি যদি খুব ধনলিপ্সু না হন তাহলে এটা তাঁর ভাল লাগবেনা – এটা অনেক বেশি ভারী কিন্তু এর কোন ছিরিছাঁদ নেই। সরি, কথাটা কেমন যেন চাঁছাছোলা টাইপের হয়ে গেল’। নিজের ব্যাবহারে নিজেই লজ্জা পায় মুমি।

‘নাহ, আমি এমনটা পছন্দ করি। সরাসরি কথা বলাই ভাল, কাজের সুবিধা হয়, কনফিউশন হয়না’।

বেচারা ওর লজ্জা ঢাকার জন্য কত যে অনেস্টির বয়ান দিচ্ছে!

লোকটা আরো কয়েকটা জিনিস দেখল। ওর চোখ বারবার চলে যাচ্ছে ছোট্ট লকেটটার দিকে, ওটা আবার না নিয়ে যায়! অবশেষে লোকটা হাত বাড়ালো ওর প্রিয় লকেটটার দিকে, ‘হুমম, আমি এটাই নেব ঠিক করেছি’। মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল মুমির, তবে একটা মূহূর্তের জন্য, তারপর মনে হোল, লোকটির স্ত্রী লকেটটা পেয়ে কত খুশি হবে, ছোট্ট একটা জিনিস কিন্তু এটা ধারণ করে আছে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান নামটি!

 

লোকটি বলল, ‘আমি এর সাথে একটি কলম আর একটি কার্ড দিতে চাই, আপনি কি আমাকে সাহায্য করতে পারেন?’

দেখেশুনে একটু পুরোনো ধাঁচের একটি কলম পছন্দ হোল মুমির। এসব কলম আজকাল হয়ত কেউ তাকিয়েও দেখেনা, কিন্তু বহুকাল আগে রাজরাজড়ারা এ’ধরনের কলম ব্যাবহার করতেন। লোকটারও মনে হোল কলমটা খুব পছন্দ হোল। কার্ড কিনতে গিয়ে লোকটা ওর পছন্দ দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘আপনি দেখছি দোকানের কোথায় কি আছে বেশ ভালোভাবেই জানেন, আপনি কি এই দোকানে অনেকদিন ধরে কাজ করেন?’

ঠোঁট কামড়ে ধরে মুমি, ‘আমি এই দোকানে কাজ করিনা ভাই, মাঝে মাঝে এসে মোমেনা আন্টিকে সাহায্য করি যখন কাজ খুব বেশি থাকে। কিন্তু আজ এসেছি গিফট কিনতে’।

‘সরি সরি সরি’, ভীষণ লজ্জা পেল লোকটা, ‘আমি তো আরো আপনাকে দোকানের স্টাফ ভেবে ...’, শীঘ্রই সামলে নিলো সে, ‘আচ্ছা, শোধবোধ করে দেই। আপনি কি কিনবেন বলুন, এবার আমার আপনাকে সাহায্য করার পালা’।

মুমি কিছুক্ষণ ‘না, দরকার নেই, কি দরকার’ টাইপের ভদ্রতা করে পরে ভাবল আসলেই তো সে আগে কখনো ছেলেদের জন্য গিফট কেনেনি, বাবা চাচা ভাইদের জন্য যা কেনে তা তো আর একটা লোকের বিয়ের গিফট হতে পারেনা! এক্ষেত্রে একজন পুরুষ হয়ত তাকে ভাল পরামর্শ দিতে পারবে। ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলে সে। লোকটা ঝটপট বলে, ‘আপনার ভাইয়ের বন্ধু কি ধরনের মানুষ? তাঁর রুচিপছন্দ কেমন?’

‘ভাইয়ার বন্ধুদের আমি কেবল নামেই চিনি, তাদের ব্যাপারে তেমন কিছু জানিনা। এই ভদ্রলোক সম্ভবত পড়তে খুব পছন্দ করেন’।

‘তাহলে বই দিন’।

‘কিন্তু কি ধরনের বই দেব? একেকজনের রুচি পছন্দ তো একেক রকম। তাছাড়া ভাইয়া এত্তগুলো টাকা দিয়েছে, একটাকাও ফেরত নেয়া যাবেনা। বইয়ের দাম তো কম। কিভাবে এতগুলো টাকা খরচ করব?’

‘চলুন, আমি দেখাচ্ছি’।

খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল দু’জনে মিলে অল্পকিছুক্ষণের ভেতরেই অনেকগুলো বই একত্রিত করে ফেলেছে। বইয়ের ব্যাপারে লোকটার রুচি বেশ ভাল। কিন্তু এতগুলো বই সে আল্গাতেও পারবেনা, এখানেই রেখে যেতে হবে, পরে ভাইয়া এসে নিয়ে গেলে ভাল, নইলেও ওর দায়িত্ব শেষ। সব হিসবটিশেব করে দেখা গেল সাতটাকা বাকী। ঐ টাকা দিয়ে ভারী সুন্দর একটা কার্ড কিনে নিলো মুমি।

 

কেনাকাটা শেষে লোকটা ওর শখের লকেটটা, ওর পছন্দের কলমটা আর ওর প্রিয় কার্ডটা নিয়ে চলে গেল। মুমি পছন্দ করা বইগুলো মোমেনা আন্টির কাছে জমা রেখে কার্ডটা নিয়ে বেরিয়ে পড়ল, বুকে সামান্য একটু চাপা কষ্ট, কিন্তু মোমেনা আন্টিকে আজ কেন যেন অনেক বেশি উচ্ছ্বল দেখাচ্ছে, এতেই ওর দিনটা সুখময় হয়ে উঠল!

 

পরের কথাঃ

মুমতাহিনাদের বাসায় আজ অনেক মেহমান আসার কথা। একজনকেও সে চেনেনা। কিন্তু সারাদিন কাজ করে করে হয়রান হয়ে গেল। আম্মু বারবার বলছে, ‘তোকে এত কাজ করতে কে বলেছে? যা, তুই তোর রুম গোছগাছ কর’। কিন্তু মা কি আর একা একা এত কাজ সামলাতে পারবে? সে বলে, ‘আম্মু, আমার রুম কি ভাইয়ার রুম পেয়েছ? আমার রুম সবসময় গুছানো থাকে। তোমার ডিম ছিলতে হবেনা। তুমি শুধু ইন্সট্রাকশন দাও, বাকীটা আমি আর রহিমা খালা মিলে করতে পারব’।

 

বিকালে মেহমান এলো। মহিলারা অন্দরমহলে আর পুরুষরা ড্রয়িংরুমে। মোমেনা আন্টি, যিনি কিনা দোকান ছেড়ে এক মূহূর্তের জন্যও নড়েন না, উনিও এলেন! একজন খালাম্মা মুমিকে খুব আদর করে কথাবার্তা বলতে লাগলেন। সন্ধ্যায় মা মুমিকে একদিকে টেনে নিয়ে জানালেন, ‘এরা তোকে দেখতে এসেছিলেন। কিন্তু ওদের তোকে এত পছন্দ হয়েছে যে ওরা আজই আকদ পরিয়ে রাখতে চান। তুই কি বলিস?’

মুমি একটু অবাক হোল, কিন্তু খুশিও হোল। ওর বান্ধবীদের অনেককেই হবু শ্বশুরবাড়ীর লোকজনের সামনে প্যারেড করে নিজের সৌন্দর্য এবং যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে বিয়ে করতে হয়েছে। এরা তো ওকে বুঝতেই দেননি যে ওরা ওকে দেখতে এসেছেন। ওদের বাড়ীর পুরুষরা তো ওকে দেখেইনি! ছেলেটাও না দেখে রাজী হয়ে গেল! ভাল লাগল ওদের আচরন। তাই বলল, ‘তোমরা নিশ্চয়ই আগেই খোঁজখবর সেরে রেখেছ। তোমাদের বিবেচনার ওপর আমার কোন কথা নেই। তবে ছেলে আমাকে না দেখেই রাজী হয়ে গেল?’

মা বললেন, ‘সে তোকে দেখেছে। দেখে অত্যন্ত পছন্দ করেছে। আমি তাহলে যাই, তোর আব্বাকে জানাই’।

মুমি ভাবলো, ‘চেহারা দেখেই পছন্দ করে বসে আছ বাপু! তোমার মাকে ভাল লাগল দেখেই রাজী হলাম, তুমি কি চিজ তা আল্লাহই জানেন!’

 

কিছুক্ষণ পর ওর মা আর হবু শ্বাশুড়ি রুমে ঢুকলেন, ‘এই যে দেখ উনি তোর জন্য কত্ত সুন্দর একটা ড্রেস এনেছেন! চল, পরে নে’।

শ্বাশুড়ি বললেন, ‘মাগো, আমার ছেলেটাকে বলেছিলাম আমার হবু মেয়েটার জন্য একটা আংটি কিনতে, কিন্তু আমার গাধা ছেলেটা এগুলো নিয়ে এসেছে। প্যাকেটটা খুলে দেখ তোমার পছন্দ হয় কিনা। ওকে কিন্তু তোমারই মানুষ করতে হবে মা’।

ওকে পোশাক পরিবর্তনের জন্য তাগাদা দিয়ে দু’জনেই চলে গেলেন। ও জামাটা বদলে ভাবল, বিনা নোটিসেই নতুন জীবনে প্রবেশ করতে যাচ্ছে সে, শেষবারের মত নিজের করে দম নেয়ার জন্য কয়েকটা মূহূর্ত নিলে নিশ্চয়ই ঘোরতর কোন অন্যায় হবেনা! বিছানায় বসতেই হাতে প্যাকেটটা লাগল। আনমনেই র‍্যাপিং পেপারটা খুলতে শুরু করল সে, ‘দেখি বাছাধন তুমি কি বস্তু!’

 

প্যাকেট থেকে বেরোল একটা পুরোনো ধাঁচের কলম, যেমনটা আগেকার দিনে রাজরাজড়ারা ব্যাবহার করতেন, লতাপাতায় ঘেরা একটা লকেট যার মধ্যখানে ‘আল্লাহ’ লেখা, আর একটা কার্ড যেটা আগেও ওর হাতের ছোঁয়া পেয়েছে, তাতে লেখা, ‘আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন, ‘কি বোকা ছেলে রে বাবা! না দেখেই বিয়ে করতে রাজী হয়ে গেল? কিন্তু আমি চাইনি যাকে আমি সবচেয়ে বেশি সম্মানের পাত্রী মনে করি তাকে এমন অযাচিত পরিস্থিতিতে ফেলতে যেখানে সে কষ্ট পেতে পারে, অসম্মানিত বোধ করতে পারে। তাই সৃষ্টিকর্তার বিধান অনুযায়ী আপনার সান্নিধ্যে কিছু সময় কাটালাম, আপনাকে জানার চেষ্টা করলাম, নিজেকে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। ভাবছেন, কয়েক মিনিট একটা মানুষের সাথে কথা বললেই বুঝি তার ব্যাপারে কোন সম্মক ধারণা করা যায়? আসলে কিন্তু যায়। ঐ অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই আমি বুঝেছি আপনি আল্লাহকে ভালোবাসেন; জীবনের পংকিল দিক আপনাকে কখনো স্পর্শ করেনি তাই আপনি সরলমনে সবাইকে বিশ্বাস করেন এবং সাহায্যের হাত নিয়ে এগিয়ে আসেন; আমার মতই আপনি বই পড়তে ভালোবাসেন এবং পার্থিব সম্পদের প্রতি আপনি নিরাসক্ত; নিজের চাইতে আপনি অপরের সুখকে প্রাধান্য দিতে পারেন এবং আপনার রুচি বেশ উন্নতমানের। কি ঠিক বলিনি? বাকীটাও কিন্তু আমি মিথ্যে বলিনি। আমি আসলেই চাই আমার সামর্থ্যের মধ্যে সবচেয়ে ভালোটুকু আপনাকে দিতে যেহেতু আপনিই মায়া দিয়ে মমতা দিয়ে আমাদের সংসারটাকে বেঁধে রাখবেন; যেহেতু আপনিই ভোরবেলা আমাকে নামাজের জন্য ডেকে তুলবেন; যেহেতু আপনিই আমাকে অন্যায়ের দিকে অগ্রসর হতে দেখলে বাঁধা দেবেন; যেহেতু আপনিই আমার সামর্থ্যের অভাব দেখলে নিজের প্রয়োজনের কথা চেপে যাবেন – তাই আপনাকে আমি তাও দিতে চাই যা আপনি চান, আবার সেটাও দিতে চাই যা আপনি কোনদিন মুখ ফুটে বলবেন না। আপনি কবুল করলে আমি নিজেকেই গিফট করে দিতে চাই! কি, এবার বিয়ে করতে রাজী? না আরো বয়ান দেব?’

বাহ, এই অল্পবয়সী ছেলেটা এত বুদ্ধিমত্তার সাথে ওকে দেখে নিলো যে সে টেরই পেলোনা, এত সুন্দর একটা চিঠি লিখল যে ওর কলমটা তাকে গিফট করে দিতে ইচ্ছে করছে, এত সম্মান করল ওকে যে ওর নিজেকেই গিফট করে দিতে ইচ্ছে করছে! সে মনে মনে লাজুক হাসি হেসে একা একাই বলল, ‘কবুল!’

No comments:

Post a Comment