আমার ছেলেমেয়ে দুজনই আমি কাজ করার সময় কাছেপিছে থেকে সাহায্য করতে পছন্দ করে। তাই গতকাল আমি যখন ওদের জন্য pizza বানাচ্ছিলাম, আমার মেয়ে সব্জী কাটছিল আর ছেলে doughএর জিনিসপত্র এগিয়ে দিচ্ছিল। কাজ করতে করতে পুত্রর সাথে নিম্নোক্ত কথাবার্তা হচ্ছিল।
“আমার ছোট্ট আব্বুটাকে কে আদর করে, বাবা?”
“তমি আমাকে আদর করেন!”
“তারপর?”
“আম্মু”।
“তারপর?”
“আম্মু”।
“তারপর?”
“তোমার big baby রাদিয়া”।
“তারপর?”
“আমার daddy, আব্বু”।
“তারপর?”
“Your baby has no one else Mummy!”
আমার বুকের ভেতর মোচর দিয়ে উঠল। ওর দাদা দাদী, নানা নানী, পাঁচটা ফুপু, দুইটা মামা আর এতগুলো ফুপাত ভাইবোন থাকতে ও বলে কিনা “Your baby has no one else Mummy!” আমরা যখন বাংলাদেশ থেকে আসি তখন ওর বয়স ছিল দু’বছর, ওর মনে থাকার কথা না। ও ডাইনিং টেবিলে বসে দাদার টাকের ওপর তবলা বাজাতে বাজাতে দাদা বলতেন, “নাতি, একটা লাঠি আন, মাথাটা ভেঙ্গেই ফেল”। তারপরও বিরক্ত হতেন না, ওকে নিতে দিতেন না। ওর নানা প্রতিদিন Skype এ বসে থাকে ওর সাথে কথা বলার জন্য, ওকে একটু দেখার জন্য। ফুপুরা মামারা কাড়াকাড়ি করত ওকে আদর করার জন্য। ওদের মোবাইলের wallpaper এ এখনো ওর ছবি! আর আমার ছেলে বলে কিনা, “Your baby has no one else Mummy!”
বিদেশে থাকতে থাকতে এভাবেই মানুষ নিঃসঙ্গ হয়ে যায়। যাদের শুধু ছবি দেখা যায়, গলা শোনা যায় কিন্তু দেখা যায়না, স্পর্শ করা যায়না; যাদের সাথে শুধু কথাবার্তা হয়, কেমন আছ ভালো আছি, কে বেঁচে আছে আর কে মারা গেল – তাদের সাথে আন্তরিকতা অনুভব করা একটা শিশুর জন্য কঠিন বটে!
একটু পরে আচমকা আমার এক বান্ধবী এসে উপস্থিত। ভাই অফিস থেকে এলে উনি বললেন, “আমি একটু রেহনুমার বাসায় যাব”। ভাই বললেন, “কেন?” উনি বললেন, “আমার ওর কাছ থেকে একটা জিনিস জানতে হবে”। ভাই বললেন, “শোন, রেহনুমা বয়সে আমার ছোট, সুতরাং ও যা জানে তা আমিও জানি, এখন যেতে হবেনা। আমাকে বল কি জানতে চাও”। আপা বললেন, “ঠিক আছে, আমাকে দেখিয়ে দাও কিভাবে সুতি ওড়না পরতে হয়!”
বেচারী পর্দা শুরু করেছেন খুব বেশিদিন হয়নি। উনি fitted স্কার্ফগুলো পরতে পারেন কিন্তু ওড়না সামলাতে এখনো কষ্ট হয়। এইবারের গরমে অস্থির হয়ে উনি ওড়না পরা শিখতে আসলেন প্রায় তিনসপ্তাহ পিছাতে পিছাতে। উনি প্রায়ই দুষ্টুমী করে বলেন, “ক্যাল্গেরীতে শুধুমাত্র তিনজন বাংলাদেশী মহিলা চাকরী করেনা অথচ আমরা তিনজনই দেশে চাকরী করতাম। একজন ডাক্তার, আমি EPZ এর বড় অফিসার আর তুমি ইউনিভার্সিটির প্রফেসর! এছাড়া আর যত ভাবী আছেন এমনকি ম্যাট্রিক ইন্টার পাশ তাঁরাও Wallmart বা McDonalds এ কাজ করে পয়সা কামাচ্ছেন!” যেখানে একজন চাকরী করেও কোথাও যাওয়া আসার সময় পাওয়া কঠিন সেখানে দু’জনই কাজ করলে বাচ্চাদেরও সময় দেয়া সম্ভব হয়না।
আমরা যখন প্রথম ক্যাল্গেরীতে এসে পৌঁছলাম তখন যেটা আমাদের সবচেয়ে অদ্ভুত লাগল সেটা হোল এখানকার বাঙ্গালী বাচ্চাদের আচরণ। বাংলাদেশে বেড়ে ওঠা শিশুরা অনেক বেশী সামাজিক আর smart হয়। কিন্তু এখানে বাচ্চারা বাবামা কাউকে পায়না, আত্মীয়স্বজন অধিকাংশেরই এখানে থাকেনা। সুতরাং সামাজিক আচরণগুলো শেখা হয়না। Day care এ বাচ্চাদের চুপচাপ থাকতে শেখানো হয় তাই তারা কথা বলতে শেখেনা, প্রশ্ন করতে শেখেনা, নিজের অনুভুতিগুলো প্রকাশ করতে শেখেনা। চুপচাপ সব মেনে নিতে নিতে তারা দুষ্টুমী করতে, মজা করতে, নিজের দাবী আদায় করতে ভুলে যায়। যেসব বাচ্চা দুষ্টুমী করে সেগুলো পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় এগুলো বুদ্ধির চাইতেও frustration এর বঃহিপ্রকাশ। Exceptions আছে। কিন্তু অধিকাংশ বাবামায়ের পক্ষেই সম্ভব হয়না একটা বা দু’টা চাকরী করে, বাসা পরিষ্কার থেকে শুরু করে বাজারসাজার, রান্নাবাড়া করে বাচ্চাদের সময় দেয়া, তাদের সাথে গল্প করা, খেলাধুলা করা - সামাজিকতা রক্ষা করা তো আরো পরের কথা!
অধিকাংশ বাচ্চারাই বাংলা বলতে পারেনা বা বললেও এমনভাবে বলে যে মনে হবে ভিনগ্রহের কোন ভাষা! কারণ বাবা মায়ের সাথে আদেশসূচক কয়েকটা কথা ছাড়া আর কোন আলাপচারিতার সুযোগ হয়না। বাইরে, TV তে ইংরেজী ছাড়া যেসব ভাষা তারা শোনে তার সাথে তারা পরিচিত না। ভাই বোন বন্ধুরা ইংরেজীতেই কথা বলে। য়ার চাকরীর কারণে দেখা সুতরাং ইংরেজীতে কথা বলতেই তাদের আরাম লাগতে শুরু করে। আমার যে বান্ধবী বেড়াতে আসলেন তাঁর মেয়ের মাত্র বোল ফুটছে, সে এখনি confused সে কোন ভাষা বলবে! আরেক ভাই দুঃখ করে বললেন, “টাকার পেছনে ছুটতে ছুটতে যখন মনে হোল এবার যথেষ্ট টাকা হয়েছে, দেশে যাব, বাবামায়ের সাথে থাকব, তখন দেখি আমার ছেলে বাংলাও জানেনা ইংরেজীও জানেনা। এখন ভাবছি এখানে তো সে কিছু একটা করে খেতে পারবে, দেশে গেলে সে কি করবে?”
আমার দু’জন ছাত্র - তাদের এদেশেই জন্ম, এদেশেই বেড়ে ওঠা। বছরে দু’বছরে একবার বাংলাদেশে যাওয়া ছাড়া দেশ সম্পর্কে তাদের কোন ধারণাই নেই। বড় হওয়ার পর তারা আর যেতেই চায়না। তাদের ঢাকা এয়ারপোর্টে নেমেই গন্ধ লাগে, যাকেই দেখে তাকেই ছিনতাইকারী মনে হয়, আত্মীয়স্বজন তাদের accent এ ইংরেজী বলেনা দেখে তাদের ignorant মনে হয়! এই দেশ এশিয়ার সম্পর্কে এভাবেই ভাবতে শেখায়। যেমন আমার এক American বান্ধবী বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরে ক্ষুব্ধ হয়ে লিখেছিলেন, “Americans think the world begins and ends within the borders of America”! আমাদের এই ছেলেমেয়েরা নিজেদের American ভাবে। তাই বাংলাদেশকে ঘৃনা করা তাদের জন্য স্বাভাবিক একটা ব্যাপার।
একদিক থেকে এ’কথা ঠিক যে এরা যদি নিজেদের এ’দেশী না ভাবে তাহলে এখানে থাকা, এখানকার সংস্কৃতির সাথে মিলে যাওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হবেনা। আবার একথাও সত্যি যে তারা এদেশী হয়ে গেলে বাংলাদেশ তাদের দ্বারা উপকৃত হওয়ার কোন সম্ভাবনাই থাকবেনা যেহেতু ঐ দেশের প্রতি তাদের কোন অনুভূতিই নেই। এক্ষেত্রে দু’দিকেই maintain করার কোন সুযোগ নেই। আমাদের যেকোন একটা দিক বেছে নিতে হবে আরেকটা দিক ছেড়ে দিতে হবে। কিন্তু যেহেতু আমাদের বেড়ে ওঠার সাথে, মন মানসিকতার সাথে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা অনেক বেশী, আমাদের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেয়া অনেক কঠিন। তাই এই সিদ্ধান্ত আগামী প্রজন্মের হাতে আর আগামী প্রজন্ম কোনদিকে যাচ্ছে এ ব্যাপারে তো কোন সন্দেহের অবকাশই নেই।
“আমার ছোট্ট আব্বুটাকে কে আদর করে, বাবা?”
“তমি আমাকে আদর করেন!”
“তারপর?”
“আম্মু”।
“তারপর?”
“আম্মু”।
“তারপর?”
“তোমার big baby রাদিয়া”।
“তারপর?”
“আমার daddy, আব্বু”।
“তারপর?”
“Your baby has no one else Mummy!”
আমার বুকের ভেতর মোচর দিয়ে উঠল। ওর দাদা দাদী, নানা নানী, পাঁচটা ফুপু, দুইটা মামা আর এতগুলো ফুপাত ভাইবোন থাকতে ও বলে কিনা “Your baby has no one else Mummy!” আমরা যখন বাংলাদেশ থেকে আসি তখন ওর বয়স ছিল দু’বছর, ওর মনে থাকার কথা না। ও ডাইনিং টেবিলে বসে দাদার টাকের ওপর তবলা বাজাতে বাজাতে দাদা বলতেন, “নাতি, একটা লাঠি আন, মাথাটা ভেঙ্গেই ফেল”। তারপরও বিরক্ত হতেন না, ওকে নিতে দিতেন না। ওর নানা প্রতিদিন Skype এ বসে থাকে ওর সাথে কথা বলার জন্য, ওকে একটু দেখার জন্য। ফুপুরা মামারা কাড়াকাড়ি করত ওকে আদর করার জন্য। ওদের মোবাইলের wallpaper এ এখনো ওর ছবি! আর আমার ছেলে বলে কিনা, “Your baby has no one else Mummy!”
বিদেশে থাকতে থাকতে এভাবেই মানুষ নিঃসঙ্গ হয়ে যায়। যাদের শুধু ছবি দেখা যায়, গলা শোনা যায় কিন্তু দেখা যায়না, স্পর্শ করা যায়না; যাদের সাথে শুধু কথাবার্তা হয়, কেমন আছ ভালো আছি, কে বেঁচে আছে আর কে মারা গেল – তাদের সাথে আন্তরিকতা অনুভব করা একটা শিশুর জন্য কঠিন বটে!
একটু পরে আচমকা আমার এক বান্ধবী এসে উপস্থিত। ভাই অফিস থেকে এলে উনি বললেন, “আমি একটু রেহনুমার বাসায় যাব”। ভাই বললেন, “কেন?” উনি বললেন, “আমার ওর কাছ থেকে একটা জিনিস জানতে হবে”। ভাই বললেন, “শোন, রেহনুমা বয়সে আমার ছোট, সুতরাং ও যা জানে তা আমিও জানি, এখন যেতে হবেনা। আমাকে বল কি জানতে চাও”। আপা বললেন, “ঠিক আছে, আমাকে দেখিয়ে দাও কিভাবে সুতি ওড়না পরতে হয়!”
বেচারী পর্দা শুরু করেছেন খুব বেশিদিন হয়নি। উনি fitted স্কার্ফগুলো পরতে পারেন কিন্তু ওড়না সামলাতে এখনো কষ্ট হয়। এইবারের গরমে অস্থির হয়ে উনি ওড়না পরা শিখতে আসলেন প্রায় তিনসপ্তাহ পিছাতে পিছাতে। উনি প্রায়ই দুষ্টুমী করে বলেন, “ক্যাল্গেরীতে শুধুমাত্র তিনজন বাংলাদেশী মহিলা চাকরী করেনা অথচ আমরা তিনজনই দেশে চাকরী করতাম। একজন ডাক্তার, আমি EPZ এর বড় অফিসার আর তুমি ইউনিভার্সিটির প্রফেসর! এছাড়া আর যত ভাবী আছেন এমনকি ম্যাট্রিক ইন্টার পাশ তাঁরাও Wallmart বা McDonalds এ কাজ করে পয়সা কামাচ্ছেন!” যেখানে একজন চাকরী করেও কোথাও যাওয়া আসার সময় পাওয়া কঠিন সেখানে দু’জনই কাজ করলে বাচ্চাদেরও সময় দেয়া সম্ভব হয়না।
আমরা যখন প্রথম ক্যাল্গেরীতে এসে পৌঁছলাম তখন যেটা আমাদের সবচেয়ে অদ্ভুত লাগল সেটা হোল এখানকার বাঙ্গালী বাচ্চাদের আচরণ। বাংলাদেশে বেড়ে ওঠা শিশুরা অনেক বেশী সামাজিক আর smart হয়। কিন্তু এখানে বাচ্চারা বাবামা কাউকে পায়না, আত্মীয়স্বজন অধিকাংশেরই এখানে থাকেনা। সুতরাং সামাজিক আচরণগুলো শেখা হয়না। Day care এ বাচ্চাদের চুপচাপ থাকতে শেখানো হয় তাই তারা কথা বলতে শেখেনা, প্রশ্ন করতে শেখেনা, নিজের অনুভুতিগুলো প্রকাশ করতে শেখেনা। চুপচাপ সব মেনে নিতে নিতে তারা দুষ্টুমী করতে, মজা করতে, নিজের দাবী আদায় করতে ভুলে যায়। যেসব বাচ্চা দুষ্টুমী করে সেগুলো পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় এগুলো বুদ্ধির চাইতেও frustration এর বঃহিপ্রকাশ। Exceptions আছে। কিন্তু অধিকাংশ বাবামায়ের পক্ষেই সম্ভব হয়না একটা বা দু’টা চাকরী করে, বাসা পরিষ্কার থেকে শুরু করে বাজারসাজার, রান্নাবাড়া করে বাচ্চাদের সময় দেয়া, তাদের সাথে গল্প করা, খেলাধুলা করা - সামাজিকতা রক্ষা করা তো আরো পরের কথা!
অধিকাংশ বাচ্চারাই বাংলা বলতে পারেনা বা বললেও এমনভাবে বলে যে মনে হবে ভিনগ্রহের কোন ভাষা! কারণ বাবা মায়ের সাথে আদেশসূচক কয়েকটা কথা ছাড়া আর কোন আলাপচারিতার সুযোগ হয়না। বাইরে, TV তে ইংরেজী ছাড়া যেসব ভাষা তারা শোনে তার সাথে তারা পরিচিত না। ভাই বোন বন্ধুরা ইংরেজীতেই কথা বলে। য়ার চাকরীর কারণে দেখা সুতরাং ইংরেজীতে কথা বলতেই তাদের আরাম লাগতে শুরু করে। আমার যে বান্ধবী বেড়াতে আসলেন তাঁর মেয়ের মাত্র বোল ফুটছে, সে এখনি confused সে কোন ভাষা বলবে! আরেক ভাই দুঃখ করে বললেন, “টাকার পেছনে ছুটতে ছুটতে যখন মনে হোল এবার যথেষ্ট টাকা হয়েছে, দেশে যাব, বাবামায়ের সাথে থাকব, তখন দেখি আমার ছেলে বাংলাও জানেনা ইংরেজীও জানেনা। এখন ভাবছি এখানে তো সে কিছু একটা করে খেতে পারবে, দেশে গেলে সে কি করবে?”
আমার দু’জন ছাত্র - তাদের এদেশেই জন্ম, এদেশেই বেড়ে ওঠা। বছরে দু’বছরে একবার বাংলাদেশে যাওয়া ছাড়া দেশ সম্পর্কে তাদের কোন ধারণাই নেই। বড় হওয়ার পর তারা আর যেতেই চায়না। তাদের ঢাকা এয়ারপোর্টে নেমেই গন্ধ লাগে, যাকেই দেখে তাকেই ছিনতাইকারী মনে হয়, আত্মীয়স্বজন তাদের accent এ ইংরেজী বলেনা দেখে তাদের ignorant মনে হয়! এই দেশ এশিয়ার সম্পর্কে এভাবেই ভাবতে শেখায়। যেমন আমার এক American বান্ধবী বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরে ক্ষুব্ধ হয়ে লিখেছিলেন, “Americans think the world begins and ends within the borders of America”! আমাদের এই ছেলেমেয়েরা নিজেদের American ভাবে। তাই বাংলাদেশকে ঘৃনা করা তাদের জন্য স্বাভাবিক একটা ব্যাপার।
একদিক থেকে এ’কথা ঠিক যে এরা যদি নিজেদের এ’দেশী না ভাবে তাহলে এখানে থাকা, এখানকার সংস্কৃতির সাথে মিলে যাওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হবেনা। আবার একথাও সত্যি যে তারা এদেশী হয়ে গেলে বাংলাদেশ তাদের দ্বারা উপকৃত হওয়ার কোন সম্ভাবনাই থাকবেনা যেহেতু ঐ দেশের প্রতি তাদের কোন অনুভূতিই নেই। এক্ষেত্রে দু’দিকেই maintain করার কোন সুযোগ নেই। আমাদের যেকোন একটা দিক বেছে নিতে হবে আরেকটা দিক ছেড়ে দিতে হবে। কিন্তু যেহেতু আমাদের বেড়ে ওঠার সাথে, মন মানসিকতার সাথে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা অনেক বেশী, আমাদের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেয়া অনেক কঠিন। তাই এই সিদ্ধান্ত আগামী প্রজন্মের হাতে আর আগামী প্রজন্ম কোনদিকে যাচ্ছে এ ব্যাপারে তো কোন সন্দেহের অবকাশই নেই।