Tuesday, October 19, 2010

চট্টগ্রামের পর্দানশীন বোনেরা

আমাদের দেশে এটা প্রচলিত ধারণা যে সিলেট এবং চট্টগ্রামের লোকজন অপেক্ষাকৃত ধার্মিক হয়ে থাকে। হয়ত যারা এ’দেশে ধর্মপ্রচার করতে এসেছিলেন তাঁদের অনেকের ঘাঁটি এসব অঞ্চলে থাকায় এতদঞ্চলে লোকজন ধর্মের ব্যাপারে অধিকতর সচেতন হয়ে থাকবে আশা করেই এ’ধরণের ধারণা করা হয়ে থাকে। এ অনুমান কতটা সঠিক কতটা বেঠিক সে হিসেবে যাওয়া আমার উদ্দেশ্য নয়। চট্টগ্রাম আমার জন্মস্থান এবং জীবনের একটা অংশ এখানে কাটিয়েছি আমি। সে হিসেবে আমার বোনদের মধ্যে ইসলামের একটি মৌলিক বিধান পালন সংক্রান্ত যেসব ভুল ধারণা দেখেছি সেটা নিয়ে আলোচনা করতে চাই।

কেউ যদি সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করে আমার ভুল ধরিয়ে দেন তাকে আমার সবচেয়ে বড় শুভাকাংখী মনে হয় কেননা তিনি বিচার বিশ্লেষন করে আমাকে আমার একটি ত্রুটি হতে মুক্ত হবার আহ্বান জানিয়েছেন। বোনেরা, আমি নিজেও আপনাদের একজন। তাই আপনারা আমার কথায় আহত না হয়ে যদি বোঝার চেষ্টা করেন আমরা উভয়েই উপকৃত হব।

আমি খুব একটা ইসলামিক পরিবারে জন্মাইনি। এখনো শিখছি। ইসলামের মৌলিক নিয়মগুলোর মধ্যে যে ব্যাপারটা নিয়ে আমাদের সবচেয়ে ঝামেলা হয় তা হোল পর্দা। আমরা অনেকেই জানিনা যে নামাজ বা রোজার মত পর্দাও পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্য ফরজ। অধিকাংশ মানুষ এখনো মনে করে পর্দা একটি অপশনাল ব্যাপার এবং এটি শুধু নারীদের জন্য প্রযোজ্য। অনেকের ধারণা পর্দা মানে শুধু একপ্রস্থ কাপড়। কিন্তু পর্দা মানে যে আচার আচরণ থেকে শুরু করে সৌন্দর্যের প্রদর্শন পর্যন্ত সবকিছুতে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আসা সেটা যেদিন থেকে বুঝতে পেরেছি সেদিন থেকে আমি একে মনেপ্রাণে গ্রহণ করেছি। সুকুমার রায়ের কবিতায় “নিয়মছাড়া হিসাবহীন” বাক্যাংশটি পড়তে যত ভালো লাগে আসলে কিন্তু প্রায় অনিয়মের মধ্যে তেমন ভালো কিছু পাওয়ার নেই।

আমি ফকীহ নই। সুতরাং পর্দাসংক্রান্ত ফিকাহের আলোচনায় যাবোনা। আমি সহজভাষায় যতটুকু বুঝি, পর্দা বলতে বোঝানো হয়েছে এমন পোশাক যা শরীরের রঙ এবং আকৃতিকে ঢেকে রাখে এবং এমন আচরণ যা ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হতে মানুষকে নিরাপদ রাখে। নারীদের আল্লাহ সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন, তাদের চুল থেকে নখ পর্যন্ত সবই আকর্ষনীয়- বিশ্বাস না হলে যেকোন ভাষায় যেকোন কবির প্রেমের কবিতা পড়ুন- তাই আল্লাহ তাদের শুধু মুখ এবং হাত ছাড়া বাকী সবটুকুই ঢেকে নিজেদের কেবল তাদের জন্য উন্মুক্ত রাখতে বলেছেন যারা অবিসংবাদিতভাবে মেয়েটির ভালো চায়। পুরুষদের যেহেতু আল্লাহ ভারী কাজের জন্য সৃষ্টি করেছেন, তাদের এমন আহামরি কোন সৌন্দর্য দেননি; সুতরাং তাদের জন্য শারিরীক পর্দার পরিধিও অনেক কম করে দিয়েছেন। আচরণের দিক থেকে পুরুষদের নিয়ন্ত্রণ কম বিধায় তাদের জন্য পর্দা অনেক বেশী কঠোর করে দেয়া হয়েছে- দৃষ্টি থেকে শুরু করে বাড়ীতে প্রবেশ পর্যন্ত সর্বত্র তাদের সাবধানতা অবলম্বন করার কথা বলা হয়েছে। এদিক থেকে মেয়েদের তরল গলায় বা আজেবাজে কথা বলা ছাড়া আর তেমন কোন বাঁধা দেয়া হয়নি। উভয়ের কথা বলার ক্ষেত্রে কেবল প্রয়োজনীয় কথার মধ্যেই সীমিত রাখার ব্যাপারে তাগিদ দেয়া হয়েছে কেননা অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা এবং অনিয়ন্ত্রিত আচরণ থেকে কি কি হয় তা নিয়েই পৃথিবীর তাবৎ নাটক সিনেমা রচনা করা হয়।

এবার মূল প্রসঙ্গে আসা যাক। আমি যখন আবুধাবী থেকে ১৯৯০ সালে চট্টগ্রাম থাকতে আসি তখন কিছু কিছু জিনিস দেখে খুব আশ্চর্য হয়ে যাই। আবুধাবীতে দেখতাম যারা পর্দা করতেন তাঁরা সম্পূর্ণভাবে করতেন আর যারা করতেন না তাঁরা করতেন না। চট্টগ্রাম এসে প্রথম দেখলাম মহিলারা বোরকা পরে হাঁটছেন কিন্তু তাদের মাথার কাপড় গলায় পেঁচানো! মাথাও ঢাকছেনা, শরীরও ঢাকছেনা! তাঁরা কখনো সেই স্বচ্ছ ওড়না তুলে আধামাথায় দিচ্ছেন আবার কখনো খুলে সবার সামনে চুল ঠিক করছেন। আমি মহাফাঁপড়ে পড়ে গেলাম। যাদের দেখে আমি নিজেই হতবাক, স্বাভাবিকভাবেই তাদের দেখে আমার বাবামাকে বোঝানো কঠিন হবে আমি কেন পর্দা করতে চাই।

কলেজে যাওয়া শুরু করার পর দেখতে পেলাম অনেক মেয়েরা পরিবারের চাপে বাসা থেকে বোরকা পরে বেরোচ্ছে কিন্তু রিক্সায় উঠেই ওড়নাসহ খুলে শুধু অ্যাপ্রন পরে কলেজে আসছে! আরেকবার চট্টগ্রাম এয়ারপোর্টে এক অসাধারন সুন্দরীকে দেখলাম শ্বশুরবাড়ীর সবাই বিদায় জানাতে এসেছে। প্লেনে উঠেমাত্র দেখি তিনি বোরকা স্কার্ফ সব খুলে ফেললেন, পাশে বসা স্বামী নির্বিকার! আমার খুব মায়া লাগত ওদের জন্য। ওদের বাবামা সমাজ ওদের ওপর জগদ্দল পাথরের মত করে পর্দা চাপিয়ে দিয়েছে কিন্তু এর কি প্রয়োজন বা কেন করতে হবে তা তাঁরা নিজেরাই জানেননা। এটা তাঁদের কাছে একটা ফ্যামিলি ট্রেডিশন, আর কিছুই না। যা তারা বোঝেনা তা তাদের ওপর চাপিয়ে দিলে মেয়ারাই বা কি করে মেনে নেবে? আমার খুব দুঃখ হত। ওরা পর্দা করার সুযোগ পেয়েও খুলে ফেলছে আর আমি করতে চাইছি কিন্তু এই নিয়ে আমার পরিবার আমার ওপর মহাখাপ্পা!
চট্টগ্রামে একটা ট্রেডিশন আমার ভীষণ ভীষণ খারাপ লাগে। যে মেয়েরা বাইরে পর্দা করে তারা ঘরে কেউ এলে নির্দ্বিধায় তাদের সামনে বেপর্দা অবস্থায় চলে যায়। এ’ব্যাপারটা যে কত হাস্যকর তা কারো মাথায়ই আসেনা! যদি পর্দার উদ্দেশ্য হয় যে ব্যাক্তি শুভাকাংখী নয় তার কাছ থেকে নিজের সৌন্দর্য গোপন করা তাহলে তার সামনে এই সৌন্দর্য এক জায়গায় গোপন আর আরেক জায়গায় প্রকাশ করলে কি লাভ? এর মানে এই নয় যে বাসায় মেহমান এলে বোরকা পরে যেতে হবে, কিন্তু মাথায় ওড়না তো দিতে হবে!

আরেকটা মজার ব্যাপার হোল বেপর্দা হয়ে ছবি তোলা! যে মেয়েটি পর্দা করে সেও বেপর্দা হয়ে ছবি তোলে এবং আজকাল ফেসবুকের কৃপায় সে ছবি সবাই দেখতে পায়। ক্যানাডায় আসার জন্য যখন ছবি তুলতে গেলাম ক্যামেরাম্যান খুব স্বাভাবিকভাবে বল্ল, “আপনি ওড়না খুলে ফেলেন”। আমি হাঁ করে তাকিয়ে বললাম, “মানে?” সে বল্ল, “মাথায় কাপড় দেয়া ছবি হলে আপনি ক্যানাডায় যেতে পারবেন না”। আমার মেজাজ গরম হয়ে গেল, “আপনার কাজ ছবি তোলা আপনি ছবি তোলেন, ক্যানাডার সরকার আমাকে মাথায় কাপড় দিলে নেবে কি নেবেনা আপনার চিন্তা করতে হবেনা; আর না নিলেও সমস্যা নাই, ক্যানাডায় না গেলে আমার বেহেস্তের টিকেট ক্যান্সেল হবে বলে কথা নেই”।

আজকাল যেসব ফ্যাশন বেরোচ্ছে তাতে মনে হয় কাপড় কম পড়েছিল বিধায় জামা টাইট এবং সালোয়ার ছোট হয়ে গিয়েছে আর ওড়নার প্রস্থ কমে চিমসে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে লেটেস্ট ডিজাইনের জামা পরতে হবে বলে তো কোন কথা নেই। আমার এক বান্ধবী আজীবন কেবল পাঞ্জাবী স্টাইল পরলো। সে পর্দা করেনা কিন্তু সে বোঝে তাকে এই ডিজাইনেই সবচেয়ে ভালো লাগে। তাহলে আমাদের কেন এমন জামা পরতে হবে যাতে পর্দা চুলোয় যাক, ন্যূনতম ভদ্রতা পর্যন্ত বজায় থাকেনা? ভীষণ আশ্চর্য একটা ঘটনা হোল অনেকে হাফহাতা জামা পরে তার সাথে স্কার্ফ পরে, অনেকে বোরকা পরে এত টাইট যে মনে হয় এর চেয়ে শুধু জামা পরলেই ভালো হত আর অনেকের আচরনে পর্দার লেশমাত্র থাকেনা। যেহেতু হাতের কব্জী পর্যন্ত পর্দার অন্তর্ভুক্ত হাফহাতা জামার পরলে সাথে স্কার্ফ পরলেও পর্দার শর্ত পূরণ হয়না। বোরকার উদ্দেশ্য যেহেতু শরীরের আকার বোঝা না যাওয়া, টাইট বোরকা পরলে সেই উদ্দেশ্য সিদ্ধ হচ্ছেনা। আর আচরণে নিয়ন্ত্রণ না থাকলে একপ্রস্থ কাপড় ঝুলিয়ে দিয়ে নিরাপত্তা পাওয়ার আশা দুরূহ। একবার বানিজ্যমেলায় গিয়েছি আমার মেয়ের জন্য ক্লিপ কিনতে। আমরা আই আই ইউ সি’র সব মহিলারা একসাথে যেতাম ভর দুপুরে যখন মেলা ফাঁকা থাকত। ক্লিপের দোকানে ঢুকে বাচ্চাদের ক্লিপ দেখছি এমন সময় দেখি এক বোরকাপরা মহিলা ঢুকলেন, কয়েকটা কাঁটা বেছে নিলেন, তারপর মাথার ওড়না খুলে একটা একটা করে কাঁটা মাথায় লাগিয়ে দোকানদারদের জিজ্ঞেস করতে লাগলেন তাঁকে দেখতে কেমন লাগছে! আমার চেহারা দেখে ফাহমিদা আমাকে টেনে নিয়ে গেল, “আপা, অন্য দোকানে চলেন”।

সবচেয়ে আশ্চর্য পরিবর্তন দেখা যায় বিয়েবাড়ীতে যে কারণে আমি আমার নিজের বিয়ের সময় পর্যন্ত বিয়েবাড়ীতে যেতে চাইনি। এক এক জনের সাজপোশাক দেখে আমি আর কিছুতেই তাদের চিনতে পারিনা। যেমন ধরুন এক বিয়েতে আমার ছাত্রীর মাকে দেখে জিজ্ঞেস করলাম, “আমার ছাত্রী আসেনি?” উনি বললেন, “ঐতো বৌয়ের পাশে! আপনি ওকে দেখতে পাচ্ছেন না?” ছাত্রী ইউনিভার্সিটিতে বোরকা পরে আসে। আমি বৌয়ের আশেপাশে কোন ওড়না পরা মেয়েও দেখছিলাম না। আমার বিহবল চেহারা দেখে উনি বললেন, “ঐ যে লাল লেহেঙ্গা পরা!” এবার দেখতে পেলাম কিন্তু একনজর দেখেই আমি লজ্জায় চোখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হলাম। বোরকা কোথায়? সে পরে এসেছে হিন্দি সিনেমার মত ছোট্ট একটা ব্লাউজ একখানা স্কার্টের সাথে, ঘাড় থেকে একপাশে ঝুলানো ওড়না! মনে মনে ধিক্কার দিলাম ওর মাকে যিনি এই বৃদ্ধ বয়সে বোরকা পরে এসেছেন অথচ উনি এখন পর্দা না করলেও ওনার দিকে কেউ তাকাবেনা, আর যে মেয়েকে উনি বোরকা পরে ইউনিভার্সিটি পাঠান তাকে তিনি অর্ধউলঙ্গ করে এমন এক জায়গায় নিয়ে এসেছেন যেখানে সর্বাধিক সংখ্যক মানুষ তাকে দেখছে! এটা বিয়েবাড়ীতে সচরাচর ঘটনা। অনেক বয়স্কা মহিলারা পর্যন্ত বিয়েবাড়ীতে গেলে বোরকা খুলে মাথার কাপড় ফেলে দেন। আর গহনার পরিমাণ এবং আকারের প্রতিযোগিতায় পর্দা যে কোথায় ফেলে দেয়া যায় তাছাড়া আর কিছু তখন কারো মাথায় থাকেনা। পর্দার উদ্দেশ্য যদি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করা হয় তবে বিয়েবাড়ীর এই প্রতিযোগিতাকে জ্ঞানের অভাব ছাড়া আর কি বলব?

পুরুষ সহকর্মীদের অনেকেই দুঃখ করতেন যে তাঁদের স্ত্রীদের এক এক বিয়েতে সাজার জন্য পার্লারের খরচ দিতে তাদের মাসের খরচ ব্যায় হয়ে যেত! প্রত্যেক অনুষ্ঠানের জন্য নতুন নতুন শাড়ী আর গহনার সেট চাই। দাওয়াত পেলেই বেচারাদের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ত!

পুরুষদের ব্যাপারেও বলতে হয় তাঁরা চোখের পর্দা করার ব্যাপারে ভীষণ উদাসীন। বিশ্বাস না হয় দেখুন প্রত্যেক বিয়েবাড়ীতে মেয়েদের হলে ঢোকার জন্য পুরুষরা কিভাবে লাইন দেন। যেখানে বলা হয়েছে নিজের ঘরে পর্যন্ত প্রবেশ করার সময় নক করতে সেখানে চট্টগ্রামে খালাত ভাই, মামাত ভাই, ফুপাত ভাই, চাচাত ভাইরা বোনদের রুমে নক না করেই ঢুকে পড়ে যখনতখন, যেন এটা তাদের জন্মগত অধিকার! তাদের সুবিধা-অসুবিধা চিন্তা না করেই ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকে তাদের ঘরে। নতুবা রান্নাঘরে বসে বসে গল্প করে। অথচ মেয়েদের রান্নাঘরে কাজ করার সময় পর্দা বজায় রাখা কতটা কঠিন ব্যাপার তা নিশ্চয় সবাই জানেন। হাসপাতালে সদ্যপ্রসূতির রুমে বসে থাকা পুরুষ আত্মীয়দের দেখুন যাদের নতুন মায়েরা না চলে যেতে বলতে পারেন না পারেন সঠিকভাবে বিশ্রাম নিতে। এক বান্ধবীর বিয়ের ছবি দেখে অবাক হয়ে গেলাম। ওর দু'পাশে, পেছনে সব ওর স্বামীর বন্ধুরা বসে ছবি তুলেছেন! ওর স্বামী যে তাঁদের বৌয়ের পাশে বসিয়ে নিজে ছবি তুল্লেন এ’ কি ধরণের আত্মসম্মান বা ওর পর্দার প্রতি উনি কি সম্মান দেখালেন?

এভাবে আরো অনেক বোঝার অভাব সংক্রান্ত সমস্যা আছে চট্টগ্রামের পর্দার ট্রেডিশনে। আমরা যদি ট্রেডিশন মনে না করে একে ধর্মীয় দায়িত্ব মনে করি এবং এ’ব্যাপারে সঠিকভাবে জানার চেষ্টা করি, যা শিখলাম সে অনুযায়ী পালন করি তাহলে এসব ভুল বুঝাবুঝির অবসান হতে পারে। আমি নিজে নিখুঁত নই তাই অন্যের ভুল ধরতে চাইনা। কিন্তু আমার মনে হয় যা করব তা সঠিকভাবে জেনেবুঝে করা উচিত যেন আমার কারণে আরেকজনের মধ্যে কোনপ্রকার অহেতুক সন্দেহ সংশয় সৃষ্টি না হয়।

1 comment:

  1. নির্মম বাস্তবতা ফুটে উঠেছে এই লেখায়........

    ছোটবেলায় এ প্রশ্নটা আমারও ছিলো, মেয়েদের দেখতাম বোরখা পড়তে, আবার মাথা খালি!!! lolzzz.....
    হায়রে মানুষ!

    ReplyDelete