Sunday, December 9, 2012

সন্তানকে ইসলামের আলোকে গড়ে তোলায় মায়ের ভূমিকাঃ প্রেক্ষিত উত্তর আমেরিকা





আমরা যারা উত্তর আমেরিকায় বসবাস করেও ইসলামকে ব্যাক্তি এবং সামাজিক জীবনে চর্চা করার চেষ্টা করছি তারা প্রকৃতপক্ষে একটি সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী স্রোতে সাঁতার কেটে ভেসে থাকার চেষ্টা করছি। সন্তানদের ইসলামের ওপর গড়ে তোলার ব্যাপারে চিন্তাশীল বাবামারা এই বৈরী পরিবেশে অবস্থান করার কারণে স্বভাবতই প্রতিনিয়ত নানাপ্রকার সমস্যার সম্মুখীন হন। এই পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর আমেরিকা নিবাসী একজন মা তাঁর সন্তানকে সঠিকভাবে পথপ্রদর্শন করার ব্যাপারে কি ভূমিকা রাখতে পারেন সেটাই আমরা একটু আলোচনা করার চেষ্টা করব। তার মানে এই নয় যে বাবাদের পড়ার কোন প্রয়োজন নেই।

"Take care! Each of you is a shepherd and each of you shall be asked concerning his flock; a leader is a shepherd of his people, and he shall be asked concerning his flock; and a man is a shepherd of the people of his house, and he shall be asked concerning his flock; and a woman is a shepherd of the house of her husband and over their children, and she shall be asked concerning them.” [Al-Bukhaari and Muslim]
(সহীহ বুখারী এবং মুসলিম বর্ণনা করেছেনঃ রাসূল (সাঃ) বলেন, ‘সাবধান! তোমরা প্রত্যকেই রাখাল এবং প্রত্যকেই তার পাল সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে; একজন নেতা তার অনুসারীদের রাখাল এবং তাকে তার পাল সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে; একজন পুরুষ তার পরিবারের রাখালস্বরূপ এবং সে তার পাল সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে; এবং একজন মহিলা তার গৃহ এবং সন্তানদের জন্য রাখালস্বরূপ এবং সে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে।)

সুতরাং, সন্তানদের সুষ্ঠুভাবে গড়ে তোলার ব্যাপারে বাবা এবং মা উভয়কে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। তবে যেহেতু অধিকাংশ ক্ষেত্রে মা ফ্রন্টে থাকেন তাই মায়ের করণীয় নিয়ে আলোচনাই মূখ্য।

আমরা কেউ জীবিকার তাগিদে, কেউবা উন্নত জীবনের জন্য উত্তর আমেরিকায় এসেছি। কিন্তু জীবিকা এবং উন্নত জীবনের আরাম আয়েশ আমাদের প্রায়ই পার্থিব জীবনের মূল উদ্দেশ্য ভুলিয়ে রাখে।
“O you who have believed, protect yourselves and your families from a Fire whose fuel is people and stones…"
[হে মুমিনগণ! তোমরা নিজেদের এবং তোমাদের পরিবারসমূহকে সেই আগুন থেকে রক্ষা কর যার জ্বালানী হবে মানুষ এবং পাথর (সুরা আত তাহরীমঃ আয়াত ৬)]

সুতরাং, আমাদের সর্বাবস্থায় অন্তিম পরিণতির কথা মাথায় রেখে এগোতে হবে যেন সেদিন, যেদিনের ব্যাপারে আল্লাহ বলেছেনঃ Then shall anyone who has done an atom's weight of good, see it. And anyone who has done an atom's weight of evil, shall see it. (সুরা জিলজালঃ আয়াত ৭-৮), আমরা অন্তত চেষ্টা করেছিলাম বলে সাফাই দিতে পারি।


আমাদের ধর্মকে এখানকার পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করার পরিবর্তে প্রয়াস থাকতে হবে জীবনকে ইসলাম অনুযায়ী গড়ে তুলে এর মধ্যে এখানকার পরিবেশকে কতটুকু খাপ খাওয়ানো যায়। উদাহরণত, আমরা চাকরীর জন্য নামাজ বাদ দেয়া বা কাজা করার পরিবর্তে পরিকল্পনা করব কিভাবে চাকরীকে নামাজের রুটিনের সাথে খাপ খাওয়ানো যায়। এই কাজগুলো আমরা কেবল নিজেদের স্বার্থে করবনা বরং আমাদের সন্তানদের জন্য করব।

এ’প্রসঙ্গে একটা গল্প বলি। নাসিরুদ্দীন হোজ্জার কাছে একদিন এক পাওনাদার এসেছে। হোজ্জা ছেলেকে গিয়ে বলল, “গিয়ে বল আব্বু বাসায় নেই”। ছেলেও সেই মাফিক গিয়ে জানাল, “আব্বু বলেছে আব্বু বাসায় নেই!”

এর থেকে বোঝা যায় বাচ্চারা তা শেখেনা বা করেনা যা আমরা তাদের বলি, ওরা সেটাই করে যা আমাদের করতে দেখে। এক্ষেত্রে একজন মা তাঁর সন্তানের জন্য শ্রেষ্ঠ মডেল। আমি যদি নামাজ পড়ি আমার সন্তানও নামাজ পড়তে শিখবে, আমি যদি পড়াশোনা করি তারও পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হবে, আমি যদি দায়িত্বশীল হই সেও দায়িত্বশীল হতে শিখবে, আমি যদি হিংশুটে বা ঝগড়াটে হই তাহলে সেও এটাকে ভাল কাজ মনে করবে। আমি যদি নিজে প্রতিদিন কুর’আন না পড়ি, আমার সন্তানকে যতই বলিনা কেন ‘কুর’আন পড়, কুর’আন পড়’ সে সুযোগ পেলেই ফাঁকি দেবে! সুতরাং, সন্তানদের শেখানোর আগে আমাদের ব্যাক্তিগতভাবে ইসলাম পালনে অভ্যস্ত হতে হবে।

উত্তর আমেরিকার অধিকাংশ পরিবারে মায়েরা প্রয়োজনের তাগিদে বা সুযোগের সদ্ব্যাবহার করার লক্ষ্যে আমাদের সন্তানদের ছোটবেলা থেকেই ডেকায়ারে দিয়ে চাকরী করতে যাই অথবা সন্তান বড় হয়ে গেলে ফুলটাইম চাকরীতে ঢুকে পড়ি। এটা দোষের কিছু নয়। তবে সমস্যাটা যেখানে সেটা হোল আমরা প্রায়ই বাসায় ফিরে রান্নাবান্না বা ক্লান্ত থাকলে টেলিভিশন, কম্পিউটার ইত্যাদি নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়ি। সন্তানদের দেয়ার জন্য আমাদের হাতে পর্যাপ্ত সময় থাকেনা। সন্তানদের এই যে বাবামায়ের অভাববোধ আমরা এটা পূরণ করার চেষ্টা করি টেলিভিশন, কম্পিউটার, ভিডিও গেম, আইপড ইত্যাদি নানান সুবিধা দিয়ে। কিন্তু নিজের ছোটবেলার কথা চিন্তা করে দেখুন তো, আমরা আমাদের বাবামা’র কাছে কি চাইতাম? সাহচর্য! প্রায়ই দেখবেন আপনি যখন কারো সাথে ফোনে কথা বলছেন আপনার সন্তানটি এসে অনবরত ‘আম্মু, আম্মু’ করছে। আপনি যখন অপরপক্ষকে হোল্ড করতে বলে জিজ্ঞেস করছেন, ‘কি?’ তখন সে আর কিছুতেই মনে করতে পারেনা সে আপনাকে কেন ডাকছিল! কারণ সে আসলে আর কিছুই চায়না, সে চায় আপনার মনোযোগ!

দেশে থাকলে আপনার সন্তান বহু লোকজনের সান্নিধ্য পেয়ে বড় হবার সুযোগ পেত যেমন আপনারা অনেকেই পেয়েছেন। আমি যেহেতু বাইরে বড় হয়েছি আমরা সে সুযোগ পাইনি। তাই অভিজ্ঞতা থেকে আপনাদের বলতে পারি, এক্ষেত্রে বাবামাকে সন্তানের বন্ধু হতে হবে, আমাদের দেশের সচরাচর বাবামা’র মত কেবল অভিভাবক হওয়াই এখানে যথেষ্ট নয়। যেটুকু সময় বাসায় থাকা হয়, সন্তানদের নিয়ে রান্নাঘরের কাজ বা ঘর গুছানো ইত্যাদি গল্প করতে করতে করা যায় বা সুযোগ হলে তাদের সাথে খেলাধুলা করা যায় যেন তারা অনুভব করে যে ওরা সব কথা বাবামা’র সাথে আলাপ করতে পারে। আমরা যদি তাদের ধমক দেই বা বিরক্তি প্রকাশ করি তখন তারা হয়ত কথাগুলো আমাদের সাথে আর বলবে না কিন্তু তাকে তো কোথাও গিয়ে মনের কথা বলতে হবে! সেই ‘অন্য কোথাও’টা আমার সন্তানের জন্য উপযোগী নাও হতে পারে!

আমাদের প্রতিদিন কিছু সময় তাদের সাথে নানাবিধ আলাপ আলোচনা করা উচিত। সেটা হতে পারে কুর’আনে বর্ণিত কোন গল্প, হতে পারে রাসূল (সাঃ) বা তাঁর সাহাবায়ে কিরামের জীবন থেকে শিক্ষণীয় কোন কাহিনী, পৃথিবীর বিখ্যাত মনীষীদের জীবনের কোন অনুচ্ছেদ বা আল্লাহর সৃষ্টির বর্ণনা। প্রতিদিন এর জন্য প্রস্তুতি নিতে গিয়ে নিজের যেমন কিছু লেখাপড়া হবে তেমনি আপনার সন্তানের আপনার প্রতি সম্মান বাড়বে। কিছু যদি জানা না থাকে তাতে ক্ষতি নেই, স্বীকার করবেন জানা নেই এবং জেনে জানাবেন। অন্তর্দৃষ্টি প্রশস্ত হলে আপনার সন্তানকে আর আপনার প্রতি পদে বুঝিয়ে চালাতে হবেনা, সে নিজেই বুঝে চলতে পারবে।

সন্তানকে শিক্ষা দেয়ার ব্যাপারে সবচেয়ে সুন্দর উদাহরণ দেয়া হয়েছে কুর’আনের সুরা লুকমানে। প্রত্যেক বাবামায়ের এই সুরা পড়া উচিত এবং সে অনুযায়ী সন্তানদের শিক্ষাদান করা উচিত।

এবার উত্তর আমেরিকায় অবস্থানরত বাবামায়েদের তিনটি বিশেষ সমস্যার ব্যাপারে সচেতনতার কথা বলব।

একদিন এক মা আমাকে জানালেন, তাঁর সন্তানকে ম্যাকডোনাল্ডের বার্গার খেতে না দিলে সে কান্নাকাটি করে, সন্তানের প্রতি তীব্র ভালবাসার কারণে তিনি হারাম জেনেও প্রায়ই প্রাণপ্রিয় সন্তানকে এই বার্গার খাওয়ান। অথচ আল্লাহ বলেছেন যার শরীরে এক বিন্দু পরিমাণ হারাম প্রবেশ করবে সে কোনদিন বেহেস্তে প্রবেশ করতে পারবেনা। তাহলে জেনেশুনে হারাম খেতে দিয়ে এ’ কেমন ভালবাসা? হারাম হালালের ব্যাপারটি এতটা গুরুত্বপূর্ণ যে এই ব্যাপারে আমাদের নিজেদের যেমন সচেতন হতে হবে তেমনি শিশুকাল থেকে সন্তানদের মাঝে এই ধারণা পরিষ্কার করে দিতে হবে যেন ওরা সর্বাবস্থায় হারাম থেকে বেঁচে থাকতে পারে। মায়েদের উচিত দোকান থেকে কিছু কেনার সময় লেবেলে ইনগ্রি্ডিয়েন্টস পরীক্ষা করে নেয়া এবং ‘এটা নেয়া যাবেনা’ না বলে সন্তানদের লেবেলে নিষিদ্ধ উপাদানগুলো দেখানো যেন ওরাও জানতে পারে কোন উপাদানগুলো বেছে চলা দরকার। একইভাবে স্কুলে যা শেখানো হয় তা পর্যালোচনা করে তাদের বুঝিয়ে দেয়া উচিত কোন জিনিসগুলো গ্রহণযোগ্য এবং কোন জিনিসগুলো নিষিদ্ধ। যেমন বাচ্চাদের বুঝিয়ে বলা দরকার যে ক্রিসমাস কোনভাবেই বৈধ নয় কেননা এর মাধ্যমে স্বীকৃতি দেয়া হয় যে আল্লাহ সন্তানগ্রহণ করেছেন এবং ঈসা (আ) আল্লাহর পুত্র [নাউজুবিল্লাহ]।

সেদিন এক ভাই লিখলেন, ‘আপু, যখন আমার ৬ বছর মেয়ে দুটিকে মাথায় স্কার্ফ পড়িয়ে বের হয়েছিলাম (অল্প বয়স থেকে প্রশিক্ষনের জন্য শুরু করা উচিত), আর সবার গরম লাগতে শুরু করেছিলো। মানে যখন আত্নীয়ের বাসায় গেলাম সাথে সাথে সবাই বলতে লাগলো, "বাহ্‌! হিজাব পড়েছো? তোমাদের গরম লাগছেনা? নিশ্চই গরম লাগছে, খুলে ফেলো।" আমিতো অবাক! মাথা ঢাকে আমার মেয়ে আর গরম লাগে আর সবার। এখন বলেন, আমার মেয়েদুটি কিন্তু কনফিউজ্ড হবে যে, ওদের আব্বু কি তবে এমন কিছু করছে যা ঠিক নয়?’


এজন্যই প্রত্যেকটি ইবাদাত পালন করতে নয় কায়েম করতে বলা হয়েছে, কেননা আমরা এককভাবে কিছু করতে গেলে বাঁধার সম্মুখীন হব। তখনই আমরা সবকিছু সঠিকভাবে করতে পারব যখন সামগ্রিকভাবে করব। এ’কারণেই উত্তর আমেরিকায় বসবাসকারী মাদের উচিত ছেলেমেয়েদের নিয়মিত মসজিদে এবং ইসলামিক অনুষ্ঠানগুলিতে নিয়ে যাওয়া যেন আমাদের সন্তানেরা একটি ইসলামিক পরিবেশ পায়। অনেক ক্ষেত্রে এর জন্য কিছু বিসর্জন দেয়ার জন্যও প্রস্তুত থাকতে হবে। যেমন অনেক সময় দাওয়াত বাদ দিতে হবে বা অনৈসলামিক অনুষ্ঠানাদিতে যাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। কিন্তু আমরা তো এর প্রতিদান আল্লাহর কাছে পাওয়ার আশা রাখি, সুতরাং এতে লাভ ছাড়া ক্ষতির কোন কোন সম্ভাবনা নেই।


আপনি যদি আল্লাহর সাথে আপনার সন্তানের সম্পর্ক তৈরী করে দেন, আল্লাহ আপনার সাথে আপনার সন্তানের সুসম্পর্ক সৃষ্টি করে দেবেন; কিন্তু আপনি যদি আপনার সন্তানকে আল্লাহর কাছ থেকে সরিয়ে দেন, তাহলে আল্লাহ আপনার সন্তানকে আপনার কাছ থেকে সরিয়ে দেবেন। কুর’আনের বিভিন্ন জায়গায় বর্ণনা করা হয়েছে কিভাবে একজন মা কষ্টের ওপর কষ্ট সহ্য করে সন্তান ধারণ এবং লালন পালন করেন, বাবামা প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্যের কথা, এমনকি তাঁদের প্রতি কেমন ব্যাবহার করা বাঞ্ছনীয় তাও! হাদীসে বাবামায়ের সম্মানের তারতম্য থেকে শুরু করে রাসূল (সা) কিভাবে তাঁর দুধমায়েদের সম্মান করতেন তার বর্ণনাও এসেছে। সহীহ হাদিস হোল, যদি কোন কারণে বাবা ক্রীতদাসে পরিনত হন, তাকে মুক্ত করলে বাবার ঋণ পরিশোধ হয়ে যায় কিন্তু মায়ের ঋণ পরিশোধযোগ্য নয়।

উমার (রা)র খিলাফতকালে এক ব্যাক্তি তার বৃদ্ধা মাকে নিয়ে হজ্জ্বে আসেন। তখনকার দিনে তো আর হুইলচেয়ারের ব্যাবস্থা ছিলোনা, তিনি মাকে পিঠে করে সম্পূর্ণ হজ্জ্ব সম্পন্ন করেন। অতঃপর উমার (রা)কে গিয়ে বলেন, ‘হে উমার! এবার কি আমি আমার মায়ের ঋণ পরিশোধ করতে সক্ষম হইনি?’ তিনি বলেন, ‘তোমাকে জন্ম দিতে গিয়ে তোমার মায়ের যে অশ্রু ঝরেছে তার একটি বিন্দু পরিমাণও এর মাধ্যমে শোধ হয়নি!’

তাহলে আপনারাই সিদ্ধান্ত নিন, আপনার সন্তান যত ইসলাম সম্পর্কে জানবে, ইসলাম অনুযায়ী চলবে, ইসলামের আদর্শকে গ্রহন করবে, ততই সে আপনাকে সম্মান করতে শিখবে। সুতরাং, আপনার সন্তানকে কুর’আন এবং হাদিসের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলে, একটি ইসলামী পরিবেশে লালন পালন করলে সবচেয়ে লাভবান হবেন আপনিই!

পরিশেষে আমরা সবাই আল্লহর কাছে সেই দুয়াই করি যা করেছিলেন ফির’আউনের স্ত্রী আসিয়া, যা আল্লাহ এত পছন্দ করেছিলেন যে তিনি আমাদের কুর’আনে শিখিয়ে দিয়েছেন, ‘রব্বানা হাবলানা মিন আজওয়াযিনা ওয়া জুররিয়াতিনা, ক্কুররাতা আইউনিন, ওয়াযালনা লিল মুত্তাক্কীনা ইমামা’ (হে আল্লাহ! আমাদের সন্তান এবং পরিবারবর্গকে আমাদের জন্য চক্ষুশীতলকারী করে দাও এবং আমাদের সৎকর্মশীলদের অন্যতম করে দাও)।

(ক্যাল্গেরীর মুসলিম শিশুদের বার্ষিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের বক্তব্য)

No comments:

Post a Comment